উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি ও এইচএসসির কোর্সের সুবিধা-অসুবিধা

আসসালামু আলাইকুম। সুপ্রিয় শিক্ষার্থী ও ভিজিটর বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এক প্রকার কুশলেই আছেন। আসলে নিজের পড়াশোনা ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারনে পোস্ট করতে দীর্ঘ সময় নিতে হলো। “পিয়নমামা ডট কম” ব্লগ সাইটে শিক্ষা বিষয়ক সম্পর্কে এটা আমার ৩য় পোস্ট। পোস্টের শিরোনাম দেখে বুঝতেই পারছেন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। 

জ্বী হ্যা! সম্প্রতি সময়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েব সাইটে এস.এস.সি (মাধ্যমিক) ও এইচ.এস.সি (উচ্চ মাধ্যমিক) প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আপনারা অনেকেই আগ্রহী আছেন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে এই সকল কোর্সে ভর্তি হওয়ার জন্য। আবার অনেকেই উদ্বিগ্ন কিংবা সিদ্ধান্ত হীনতায় ভূগেছেন আদৌ এখানে ভর্তি হবেন কিনা!

Bangladesh_Open_University

এস.এস.সি (মাধ্যমিক) ও এইচ.এস.সি (উচ্চ মাধ্যমিক) কোর্সে পড়াশোনার যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধাটাও আছে অনেক। যারা বাউবি হতে ইতিপূর্বে পড়াশোনা শেষ করেছেন কিংবা করছেন ভূক্তভোগীরাই এর যথার্থতা বলতে পারবেন। বাঙ্গালী একটি প্রবাদ আছে “প্রাচীরের বাইরে যা দেখা যায় বাস্তবে ভিতরে এর রুপ অন্য রকম” যেহেতু আমি বাউবির অধীনে এসএসসি শেষ করেছিলাম সেই অভিজ্ঞতাতে বাউবির সুবিধা-অসুবিধা বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এই পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ার ‍অনুরোধ রাখছি তাহলে সহজেই বিষয় বস্তু বুঝতে পারবেন।

প্রথমেই আসি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এস.এস.সি প্রোগ্রামের সুবিধা কিংবা অসুবিধা প্রসঙ্গে।

 ১. বাউবির এস.এস.সি প্রোগ্রামের সুবিধাঃ

  • এখানে যে কোন বয়সেই শিক্ষা গ্রহন করা যায় কোন বাধ্যবাধকতা নাই। ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হতে হলে আপনাকে যে কোন সালের ৮ম শ্রেণি/জেএসসি/ সমমান পাশ থাকতে হবে। বর্তমানে এই বছরে নতুন নিয়ম হয়েছে যাদের ৮ম শ্রেণির সনদপত্র নাই তাদেরকে ছোট্ট একটি ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে তবেই এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবে। 
পরামর্শ:  
যাদের ৮ম শ্রেণির সনদ পত্র নাই তারা ইচ্ছা করলে আপনার এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে স্যারেদের অনুরোধ করলে ও বুঝিয়ে বললে সংগ্রহ করতে পারবেন। স্যারেদের খুশী করার জন্য ১০০-২০০/- দিবেন। উল্লেখ্য যাদের জন্ম তারিখ ১৯৯৬ সালের পূর্বে তারা অবশ্যই সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৮ম শ্রেণি পাশের সনদ নিবেন। ২০০৯ সালের পরে হবেনা কারন তখন বোর্ড কর্তৃক জেএসসি চালু হয়েছিলো। ২০০৯ সালের পূর্বে ৮ম শ্রেণির সনদপত্র দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা ছিলো সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ৮ম শ্রেণি পাশের একটি সনদ থাকলে আপনাকে আর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া লাগবেনা। অনলাইনে আবেদন করেই ভর্তি হতে পারবেন।
  • একেবারে বিনামূল্য বই পাবেন। কোন রকম বই ক্রয় করা লাগবেনা। তবে গাইড/সহায়িকা বই কিনতে হলে আপনাকে নিজ দায়িত্বে লাইব্রেরিতে খোঁজ নিতে হবে
  • বাউবি হতে একটি ডিজিটাল আইডি কার্ড পাবেন।
  • পরীক্ষার ফর্ম পূরনের সময় জেনারেল বোর্ডের মতো আলাদাভাবে পূনরায় ফিস দেওয়া লাগেনা।
  • নিয়মিত ক্লাশ করার বাধ্যবাধকতা নাই। জেনারেলের মতো কুইজ, টেস্ট পরীক্ষা, মিডটার্ম পরীক্ষা, এ্যাসাইমেন্টের ঝামেলা নাই।
  • একবার ভর্তি হলে রেজিঃ এর মেয়াদ ০৬ বছর বলবৎ থাকে। অর্থাৎ ০৬ বছরের মধ্যে আপনাকে উক্ত কোর্স শেষ/পাস করতে হবে।

২. বাউবির এস.এস.সি প্রোগ্রামের অসুবিধাঃ


ssc-exam
  • জেনারেলে বিজ্ঞান/মানবিক/ব্যবসায় শাখার যে কোন একটি বিষয় নিয়ে ভর্তি হওয়া যায়। কিন্তু উন্মুক্তে দেশের সব জায়গায় কিংবা এলাকা/স্টাডি সেন্টারে আপনি বিজ্ঞান কিংবা ব্যবসায় শাখায় ভর্তি হতে পারবেন না। তবে মানবিক শাখা সকল স্টাডি সেন্টারে বিদ্যমান আছে।
  • বর্তমানে উন্মুক্তে পরীক্ষায় ফলাফল তেমন আশানুরুপ হয়না অর্থাৎ পড়াশোনা না করলে ভালো মাকর্স/জিপিএ পাবেন না কোনক্রমেই। উন্মুক্তের খাতা দেখার পদ্ধতিটা কিন্তু সেই মান্ধাতা/আদি আমলেই রয়ে গেছে মানে উন্মুক্ত বোর্ড থেকে বলা আছে পরীক্ষকদের জন্য (যারা খাতা দেখেন) নম্বর দিতে যেন জেনারেল বোর্ডের মত নমনীয় না করা হয় এবং গ্রেস মার্ক ৩-৪ এর বেশি যেন না দেওয়া হয়। ফেইল হলে পূনরায় পরীক্ষা দিবে। সেই জন্য দেখবেন ওপেনে পাশের হার জেনারেল বোর্ডের মতো কখনোই ৮০% এর উপর থাকেনা। আবার অধিকাংশ পাশ করলেই দেখবেন জিপিএর অধিকাংশই বি কিংবা সি গ্রেড পেয়ে অর্থাৎ টেনেটুনে পাশ করেছে।
  • উন্মুক্তের শিক্ষার্থীদের অভিযোগও বিস্তর অনেক। যেমন: অনেকেই বলে থাকেন ভালো পরীক্ষা দিয়েও কাঙ্খিত ফলাফল হয়নি। কিংবা পরীক্ষায় উপস্থিত হয়েও অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। 
  • এমনিতেই উন্মুক্তে অধিক বয়স্ক কিংবা ঝড়েপড়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকেন যাদের অধিকাংশই প্রাথমিক ক্লাশে অনেক দূর্বল হয়ে থাকেন। ফলে বিসমিল্লায় গলদ থাকা বলে মাধ্যমিক শ্রেনিতে পাঠকাঠামো বুঝে উঠতে না পারার ফলে ভালো ফলাফল করতে পারেনা। তাছাড়া আমার ব্যক্তিগত দেখা ও বিশ্লেষণে এখানের ভর্তি হওয়া প্রায় ৮৫% শিক্ষার্থী  কম মেধাবী ও পড়াশোনাতে অমনোযোগী। 
  • একটা সময় ছিলো এটা প্রায় ১৫-২০ বছর পূর্বে যখন জেনারেল বোর্ডে পরীক্ষা দিয়ে একাধিকবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে না পেরে শেষ ভরসাতে বাউবিতে ভর্তি হতো। তাছাড়া সেই সময়ে বাউবির স্টাডি সেন্টার এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাই ছিলো প্রচুর। বিশেষত মফস্বল/প্রত্যন্ত এলাকাতে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ার কারনে অধিকাংশই অসাধু পন্থা অবলম্বন করে পাশ করতে পেরেছে। তাই সেই সময়ে ঝড়ে পড়া কিংবা ফেল করা শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে কলরব ঘটে পাশ করতে ও সার্টিফিকেট নিতে হলে যাও বাউবিতে। আসলে ঐ সময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে একজন আরেকজনের পরীক্ষা দিতো, মাঝেমধ্যে শিক্ষকগণও শিক্ষার্থীদের খাতায় লিখেও দিতেন এমন নজিরও আছে।
  • বর্তমানে বাউবির কলেবর বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিনে দিনে কমেই যাচ্ছে। এর অন্যতম কারন হলো জেনারেল ও মাদ্রাসা বোর্ডে পাশের হার অনেক বেশি। সুতরাং ঝড়ে পড়া স্টুডেন্ট না থাকলে বাউবিতে কে ভর্তি হবে? আরেকটি কারন হলো বাউবির বর্তমান প্রতিদন্দ্বি কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি/এইচএসসি প্রোগ্রামসহ বৃত্তি সুবিধা। অবশ্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বিষয়টা আমি নিচে আলোচনা করবো। 
  • উন্মুক্তে নিয়মিত ক্লাশ করা লাগেনা বলে এখানে তেমন মজা নাই, আগ্রহ থাকেনা। যেমন: মনে করি আপনি বাউবি হতে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশ করলেন তাহলে আপনি কি আপনার ক্লাশের সহপাঠিদের নাম ও পরিচয় মনে রাখতে পারবেন কিংবা বলতে পারবেন? কখনোই না! কিন্তু বাউবি ব্যতিত যারা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন কিংবা করছেন তারা নিসন্দেহে বলতে পারবেন। অর্থাৎ বন্ধুত্ব সুলভ আচরন আছে।
  • বাউবি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্তু এটা দূরশিক্ষণ! এর সনদপত্রের মান যে কোন শিক্ষাবোর্ডের সমতুল্য। কিন্তু এটা কাগজ-কলমে হলেও বাস্তবে কিন্তু ভিন্নতা রয়েছে। বাউবি হতে নিসন্দেহে জেনারেল বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদপত্রের মান আরো একধাপ এগিয়ে তার প্রমাণ নিচে দিচ্ছি।
  • বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান চাকুরীর ক্ষেত্রে বাউবি হতে পাশ করাদের গ্রহন করেনা। আবার উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বাউবি হতে পাশকৃতদের গ্রহন করেনা যেমনঃ সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ, সরকারি প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদালয় সমূহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
  • ফলাফল প্রকাশ ও মার্কসীট বিতরনেও দীর্ঘ সময় নেই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যেমনঃ আপনি বাউবি হতে এস.এস.সি কিংবা এইচ.এস.সি পাশ করে জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে যাবেন ঠিক উক্ত সময়ে দেখবেন হয়ত আপনার মার্কসীট আসে নাই কিংবা বাউবির সার্ভার বন্ধ আছে। ফলে কি হচ্ছে আপনাকে বাধ্য হয়েই পরবর্তী শিক্ষা নিতে পূনরায় বাউবিতেই আপনাকে ভর্তি হতে হচ্ছে কিংবা থাকতে হচ্ছে। আসলে এমনটা করা হচ্ছে উন্মুেক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অভিনব কৌশল যাতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য কোথাও না যেতে পারে। আমি নিজেও এর ভূক্তভোগী ছিলাম যেটার গল্প আরেক দিন বলবো। তাছাড়া অনেককেই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখেছি উন্মুক্ত হতে পাশ করে।
  • আরেকটি অবাক করা বিষয় আপনি যদি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করে থাকেন। বিশেষ প্রয়োজনে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন এর তথ্য ও জন্ম তারিখ পরিবর্তন করতে যাবেন তাহলে পারবেন না কিংবা গ্রহন করা হবেনা। কারন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এটা সংশোধন করে দেওয়া হয়না।

৩. এসএসসি প্রোগ্রামের খরচের হিসাব:

বাউবিতে ০২ বছরের এসএসসি কোর্স শেষ করতে লাগবে প্রায় ১০ হতে ১২ হাজার টাকার মত। এখানে কোন বই কেনা লাগেনা। স্টাডি সেন্টার হতে আইডিকার্ডসহ সকল প্রকার বই ফ্রি দেওয়া হয়। অপরদিকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল কোর্সে ০২ বছরে পড়াশোনা করতে ব্যায় হয় এলাকার প্রতিষ্ঠানভেদে ০৭ হাজার হতে ১০ হাজার টাকা। তবে সনদপত্রের মান এবং ভালো ফলাফলসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য অবশ্যই উন্মুক্ত হতে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের কোর্স করাটা অনেক ভালো হবে। কেন ভালো হবে এবং তার কারণ সমূহ নিচের পয়েন্টে আলোকপাত করবো।

৪. তাহলে আপনার ভর্তির জন্য সেরা হবে কোনটা? উন্মুক্ত নাকি কারিগরি শিক্ষা বোর্ড?

Bteb-Review

মূলত যারা সিরিয়াসলি ভালো ফলাফল করতে চান এবং পরবর্তীতে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান যেমন: এসএসসি পাশ করে দেশের যে কোন সরকারি কিংবা বেসরকারি কলেজ এবং এইচএসসি পাশ করে দেশের নামকরা কলেজে অনার্স কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য নিসন্দেহে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে এসএসসি কিংবা এইচএসসি ভর্তি হওয়াটা ভালো হবে। তার যুক্তিগুলো নিচে প্রদান করছি। আর যাদের শুধুমাত্র সনদপত্র নামে নেওয়া নামমাত্র পাশ বলা অন্য কোন স্বপ্ন পূরনের উদ্দেশ্য নাই তারা বাউবিতে ভর্তি হতে পারেন। তবে আমি আবারও বলছি বাউবিতে ভর্তি না হওয়াটাই ভালো হবে তার কারনগুলোতো উপরের পয়েন্টে আলোচনা করেছি। তাছাড়াও-
  • ক) কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে এসএসসি কিংবা এইচএসসি কোর্সে যে কোন বয়সেই ভর্তি হওয়া যায়। যে কোন সালের ৮ম শ্রেণি/জেএসসি/জেডিসি পাশ হলেই হবে।
  • খ) আপনার এলাকাতে যেখানে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে নামে প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে ভর্তি হতে পারবেন। 
  • গ) কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে এসএসসি প্রোগ্রাম শুধুমাত্র সাইন্স নিয়ে পড়ানো হয়। ভয় পাওয়ার দরকার নাই। এই সাইন্স জেনারেল শিক্ষাবোর্ড হতে অনেক ভিন্ন ও সহজ। এর আবার বিভিন্ন ট্রেড আছে যেমন: কৃষি, কম্পিউটার, মেশিনারি, ইলেকট্রনিক্স ইত্যাদি।
  • ঘ) উন্মুক্তের এসএসসি প্রোগ্রাম হতে কারিগরীর এসএসসি প্রোগ্রামে ফলাফল ও জিপিএ অনেক ভালো ওঠে যা আপনাকে পরবর্তী শিক্ষা প্রোগ্রামে  ভর্তি হতে সহায়ক হবে। মূলত কারিগরির এসএসসি প্রোগ্রামে প্রতিটা বিষয় বোর্ডে ৬০ মার্কের পরীক্ষা দিতে হয় এবং ৪০ মার্ক ব্যবহারিক থাকে যেখানে প্রতিষ্ঠানের স্যারের ৪০ এর মধ্য ৩৩ থেকে ৪০ মার্কই দিয়ে থাকে। সুতরাং আপনি যদি এখানে একদমই পড়াশোনা নাও করে থাকেন তাহলে নিশ্চিত বি কিংবা এ মাইনাস গ্রেড পাবেন যেখানে বাউবিতে কোনভাবেই সম্ভব নই। তাছাড়া একটু মনোযোগ কিংবা নিয়মিত ক্লাশ করলে অনায়াসেই এ কিংবা এ+ গ্রেড অর্জন করা যায়।
  • ঙ) কারিগরির অধীনেও বাউবির মতো প্রতি বছরে ০১ বারসহ মোট ০২ বার বোর্ড পরীক্ষা দিতে হয়।
  • চ) ০২ বছরে লেখাপড়ার খরচ প্রায় প্রতিষ্ঠানভেদে ০৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। অবশ্য বইগুলো নিজেকে কিনতে হবে।
  • ছ) কারিগরীতেও নিয়মিত ক্লাশের কথা বললেও কিছুটা শিথিল আছে। এখানে ব্যবহারিক পড়াগুলো আপনাকে আনন্দ দিবে, অনুপ্রেরণা জুগাবে, নিজের স্কীল ডেভেলপ করতে পারবেন।
দৃষ্টি আকর্ষণ:
যারা বয়স্ক কিংবা কর্মজীবি আছেন তারাও কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি কিংবা এইচএসসি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। তেমন একটা ক্লাশ না করলেও হবে। তথাপি আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেখানের স্যারদেদরকে আপনি বলে নিবেন আপনি কার্জকর্ম করেন কিংবা কর্মজীবি। স্যারেরাও আপনাকে পরামর্শ দিবেন। আপনারা হয়ত বিভিন্ন পত্রিকা, পেপার মিডিয়া কিংবা সোস্যাল সাইটে দেখেছেন বিভিন্ন মুখরোচক সংবাদ পরিবেশন যেমন: ৫০ বছর বয়সে বাবা ছেলের সাথে এসএসসি পাশ করলেন, কিংবা মা-ছেলে একসাথে এসএসসি পাশ করলো, ছেলের থেকে মা বেশি জিপিএ পেয়েছেন ইত্যাদি। জ্বী এই গুলো সবই সত্য ও তথ্যমূলক ঘটনা। যারা সবাই ভালো ফলাফল সহ বেশি বয়সে লেখাপড়া করে পাশ করেছেন তাদের অধিকাংশই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ভর্তি হয়েছিলেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কোনটার কোন সুবিধা....!!
  • জ) কারিগরির সনদপত্র দিয়ে দেশে-বিদেশের যে কোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী কিংবা উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারবেন। কোন প্রতিবন্ধকতা নাই।
  • ঝ) উন্মুক্তে ফেলের হার বেশি। কিন্তু আমি নিশ্চিত বলতে পারি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে তেমন ফেল নাই বললেই চলে। এই বিষয়ে কোন সংশয় থাকলে আপনার নিকটস্থ  কারিগরি  কলেজ কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে পারেন।

আশা করি উপরোক্ত কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন। এবার আসি এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পড়াশোনা ও ভর্তির বিষয়ে:

৫. বাউবিতে এইচ.এস.সি প্রোগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধাবলীঃ

  • যারা বাউবি হতে কিংবা অন্য কোন বোর্ড হতে এসএসসি পাশ করবেন কিংবা করেছেন তারা অবশ্যই বাউবি বাদ দিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচ.এস.সি (বিএমটি) কোর্সে ভর্তি হবেন। কারন উপরের আলোচনার এক পর্যায়ে বলেছিলাম যারা পরবর্তীতে ভালো ফলাফল করে জাতীয় কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স ভর্তি হবেন তাদের জন্য নিসন্দেহে বাউবি অপেক্ষা কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ভর্তি হওয়া অনেক বেটার। 
  • বাউবির এইচ.এস.সি প্রোগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধাবলী কিন্তু বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামের মতই একদম কার্বন কপি। সুতরাং সুবিধা-অসুবিধা আলোচনা গুলো উপরোক্ত করা হয়েছে।
  • পূর্বেই বলেছি আপনি যদি বাউবি থেকে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশ করে পরবর্তীতে অনার্স ভর্তি হতে চান তাহলে অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাউবির শিক্ষার্থীদের এলাউ করেনা। অপরদিকে বাউবিতে যারা কম স্কোর কিংবা জিপিএ পেয়ে পাশ করবেন তাদের কিন্তু সরকারি কলেজগুলোতেও অনার্স করার শেষ সুযোগও হয়না।
  • কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ০৩ ধরনের এইচ.এস.সি প্রোগ্রাম রয়েছে যথারুপ: এইচ.এস.সি ভোকেশনাল, ডিপ্লোমা ইন কমার্স এবং এইচ.এস.সি বিএমটি (সাবেক বিজনেস ম্যানেজমেন্ট)। এর মধ্য আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি ভাল হবে এইচ.এস.সি বিএমটি কোর্স।
  • এইচ.এস.সি বিএমটি কোর্সের প্রতিটা বিষয় বোর্ডে ৬০ মার্ক লিখিত পরীক্ষা দেওয়া লাগে এবং অবশিষ্ট ৪০% মার্ক স্যারেদের হাতে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বাউবি হতে সহজেই  ভাল স্কোর/জিপিএ পাওয়া সোজাা হয়। আসলে এইচ.এস.সি বিএমটি কোর্স হলো ব্যবসায় শিক্ষা কিংবা কমার্স বিষয়ক পড়াশোনা। আপনি এখান হতে এইচ.এস.সি বিএমটি পাশ করে অনার্স ব্যবসায় শিক্ষা কিংবা মানবিক শাখার যে কোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন।
  • একদম সহজ কথা এইচ.এস.সি বিএমটি থেকে পাশ করে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে  দেশের যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন
  • কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচ.এস.সি বিএমটি ০২ বছরের কোর্স  শেষ করতে প্রতিষ্ঠানভেদে খরচ হয় ৭০০০/- হতে ১২,০০০/- টাকা।

 ৬. কিভাবে ভর্তি হবেন কিংবা ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া:

আপনি যদি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি হতে চান তাহলে ভর্তি হতে পারেন তাদের ভর্তির সার্কুলার দিয়েছে। ওপেনের সার্কুলার তথা ভর্তি প্রক্রিয়া ও নির্দেশিকা দেখতে তাদের ওয়েব সাইটে এপস অপশনে গিয়ে দেখতে পারেন এখান থেকে 
  • সেখানে ক্লিক করলে নিম্নরুপ ইন্টারফেস চিত্র আসবে > Offered Program অপশন হতে Open School এ ক্লিক করে এসএসসি প্রোগ্রামের পাশে প্রদর্শিত ভর্তি নির্দেশাবলী (learner's guide এবং View details ) গুরুত্ব সহকারে পড়ে (+) কিংবা (-) এ ক্লিক করলে যে কোর্সগুলোতে ভর্তি চলছে সেখানে Apply Now লেখা আসবে। 
BOU-Apps
  • অতঃপর General Information ধাপ যথাযথভাবে পূরণ করে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।  
  • Personal Information ধাপ যথাযথভাবে পূরণ করে সদ্য তোলা ছবি (300x300 pixel, JPG Format) এবং স্ক্যান করা স্বাক্ষর (300×100 pixel, JPG Format) আপলোড করে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • Academic Information ধাপে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা শেষে Finish বাটনে ক্লিক করে প্রদর্শিত কোর্সসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করে Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। 
  • সঠিকভাবে ফরম পূরণ শেষে শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে এবং প্রদত্ত ইমেইলে Temporary User ID ও Password প্রেরণ করা হবে ।
  • Proceed to Payment বাটনে ক্লিক করার পর প্রদর্শিত Online Payment Gateway / System সমূহ থেকে যেকোনো একটি মাধ্যমে ফি জমা দিতে হবে। 
  • সফলভাবে ফি জমাদান শেষে “Payment has been completed successfully!” মেসেজ প্রদর্শিত হবে এবং SMS ও ইমেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে অবহিত করা হবে। 
  • Online-এ ভর্তির আবেদন সম্পন্ন করার পর শিক্ষার্থীর Temporary User ID ও Password ব্যবহার করে OSAPS এ Login করে Print Profile বাটনে ক্লিক করে প্রদর্শিত আবেদনপত্রটি এবং Payment History থেকে Action মেনুর Print অপশনে ক্লিক করে Payment Slip-টি প্রিন্ট করতে হবে। 
  • প্রিন্টকৃত আবেদনপত্র ও Payment Slip এর সাথে ২ কপি ছবি, জেএসসি/জেডিসি/অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টারে জমা প্রদানের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ID Genarate হবে। অন্যথায় ভর্তি অসমাপ্ত বলে গণ্য হবে।
  • Online ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য পরবর্তী ১৫(পনের) কার্যদিবসের মধ্যে OSAPS Helpline-এ, ইমেইলে, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্র অথবা সংশ্লিষ্ট স্টাডি সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।         
অপরদিকে আপনি যদি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি কিংবা এইচ.এস.সি বিএম কোর্সে ভর্তি হতে চান তাহলে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে যোগাযোগ করলেই হবে। বিশেষত এসএসসি কোর্সে ভর্তি হলে আপনাকে প্রতি বছরের ডিসেম্বর টু জানুয়ারি মাসের দিকে খোঁজ খবর রাখতে হবে। বিশেষত জেএসসসি পাশের ফলাফলের পরেই মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়ে থাকে। যাদের জেএসসি নাই যে কোন সালের ৮ম শ্রেণি পাশের সনদ দিয়েও ভর্তি হওয়া যাবে। এইচএসসি বিএম কোর্সে ভর্তি শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরই। এইচএসসি বিএম কোর্সে ভর্তি অনলাইনে ও প্রতিষ্ঠানে গিয়েও সরসরি ভর্তি হওয়া যায়।

৭. কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসি কিংবা এইচ.এস.সি বিএম কোর্সে ভর্তি হওয়ার প্রতিষ্ঠান কিভাবে খুঁজবেন কিংবা চিনবেন?

সমগ্র বাংলাদেশ কিংবা আপনার এলাকা কিংবা জেলা/উপজেলা শহরে যেখানে দেখবেন টেকনিক্যাল স্কুল কলেজ কিংবা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অথবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অথবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজী শব্দের আগে-পরে অন্য কোন বাক্য/শব্দ থাকলে সেটিই ধরে নিবেন উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উদাহরন হিসেবে বলি: নামগুলো এই ধরনের হয়ে থাকে যেমন: মাগুরা আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, সালেহা-রবিউল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ইত্যাদি ....ইত্যাদি কতশত নাম। ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ০২ ধরনের আছে তথা: সরকারি ও বেসরকারি। যারা বয়স্ক জেএসসি সনদ নাই, নিয়মিত ক্লাশ করতে পারবেন না তাদের জন্য বেসরকারি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়াটা ভালো হবে। আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে কিছু ভর্তির বিজ্ঞাপন চিত্র প্রদান করা হলো:
 ক)
 
Vocational Admission

 খ)
Govt Vocational Admission
দৃষ্টি আকর্ষণ:  
যারা বয়স্ক বিশেষত জন্মতারিখ ১৯৯৭ সালের পূর্বে তাদের ৮ম শ্রেণির পাশের সনদ কিংবা প্রত্যয়নপত্র না থাকলেও আপনি আপনার পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে সংগ্রহ করতে পারবেন যেটা উপরোক্ত পয়েন্টে বলেছি। অপরদিকে ১৯৯৭ সালের পরে যাদের জন্মতারিখ তাদের কিন্তু কারিগরীর ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি হলে অবশ্যই জেএসসি পাশের সনদ থাকতে হবে। ৮ম শ্রেণি দিয়েও বেসরকারি ভোকেশনাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যায় তবে সেখানে বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। উদাহরন হিসেবে বলি ২০১০ সালের পূর্বে জেএসসি চালু হয়নি। তখন অনেকেই সহজেই ৮ম শ্রেনির প্রত্যয়নপত্র স্কুল থেকে সংগ্রহ করতে পারতো। অর্থাৎ তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষমতা ছিলো এইগুলো দেওয়ার। কিন্তু এখন আপনার জন্ম তারিখ যদি বলেন ২০০১ কিংবা ২০০৩, আপনার জেএসসি সনদ নাই। অথচ ৮ম শ্রেনির সনদ নিতে চাচ্ছেন তাহলে তো দেওয়া সম্ভব নই। কারন ২০০৯ সালের ৮ম শ্রেনির প্রত্যয়নপত্র নিতে হলে আপনার বয়স ১৯৯৭ সালে কিংবা তার বেশি হতে হবে। ২০০১ কিংবা ২০০৩ সাল দিলেতো আপনি ৫-৬ বছর বয়সে তো আর ৮ম শ্রেণিতে পড়তেন না এবং সম্ভবও নই। সুতরাং যুক্তি তর্ক বুঝতেই পারছেন। 

ভর্তির আবেদন করার প্রক্রিয়া: 

এই ক্ষেত্রে যাদের কোন যেমন: JSC/JDC/Class 8 সনদপত্র নাই তাদের এখন একমাত্র ভরসা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এস.এস.সি কোর্সে ভর্তি হওয়া। বর্তমানে ভর্তির আবেদন চলছে। এখানে আবেদন করার জন্য প্রাথমিক আবেদন ফি ১০০/- প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে আপনাকে ছোটখাটো ভর্তি পরীক্ষা নিবে বাউবি কর্তৃপক্ষ। সেখানে নূন্যতম পাশ/মার্ক উঠালেই  ভর্তি হতে কোন সমস্যা হবেনা। পরিশেষে আশা করা যায় ভর্তি  পরীক্ষার প্রশ্ন তেমন কঠিন করবে না বাউবি কর্তৃপক্ষ, সবাইকে কৃতকার্য দেখানোই আশাটা তাদের থাকবে। পরীক্ষায় পাস করার পর বাকি  প্রায় ৪,৬০০/-টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করতে হবে।  আপনি কোন স্টাডি সেন্টারে ভর্তি  হতে ইচ্ছুক অনলাইনে আবেদন করার সময় সেটি নির্বাচন করে দিতে পারবেন। ভর্তির আবেদন লিংক, প্রক্রিয়া এই পোস্টের ০৬ নং পয়েন্টে দেখিয়েছি।

সর্বশেষ:

পোষ্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে। আশা করি উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনি একটি সম্যক ধারনা পেয়েছেন। তারপরেও কোন জিজ্ঞাসা কিংবা তথ্য জানার প্রয়োজন হলে কমেন্ট করার প্রত্যাশা রইলো। 
উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা Peon Mama লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স  নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।  

Share this post with friends

Next Post
2 Comments
  • Anonymous
    Anonymous May 4, 2023 at 8:29 PM

    Sir please reply diben amr jsc certificate nei ekn jodi online e abedon kori tahole ki vorti porikkkar age 4600 tk payment korte hobe? Pore jodi vorti exam e na tiki tahole tk er ki hobe arek ta prosno jodi konu karone fell kori vorti porikkar tahole ki porar sopno ses? Amr jonmo 2000 sal id card ace so exam deya cara to vorti er konu option o nai

    • এএমডি আব্দুল্লাহ্
      এএমডি আব্দুল্লাহ্ May 6, 2023 at 11:46 PM

      অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্দর একটি প্রশ্ন করেছেন ভাই। আপনার প্রেরিত জন্ম তারিখ, ৮ম শ্রেনি পাশের প্রত্যয়ন না ধাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে অবশ্যই আপনাকে বাউবির বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। আমাকেও দূঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এবারের পদ্ধতিটি একেবারে নতুন হওয়ার কারনে পেমেন্ট আগে করতে হবে অথবা টাকা দিলাম এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাস করতে না পারলে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে কিনা আমি নিশ্চিত নই। আপনি একটা কাজ করুন আপনি যে এলাকাতে থাকেন কিংবা যেখানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেখানের বাউবির আঞ্চলিক কেন্দ্র কিংবা কো-অর্ডিনেটিং অফিসে গিয়ে সরাসরি আলোচনা করলেই পরিস্কার একটা ধারনা পাবেন। আর ভর্তির আবেদরেন বিষয় অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে। আপনার জেলা কোনটি কিংবা কোথায় থাকেন??

Add Comment

Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.

comment url