ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স ভর্তি ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন :: ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম। পিয়নমামা ডটকম সাইটের ভিজিটর বন্ধুদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের দিনের পোস্টআমাদের ব্লগসাইট সহ সোস্যাল সাইটে অনেকেরই প্রশ্ন ছিলো ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স পড়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি, পড়াশোনার খরচ কত, কোথায় পড়বেন ও ক্যারিয়ার গড়বেন  যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করে আপনাদের মনের সংশয় দূর করার চেষ্টা করবো।

ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্স কি?

হাল সময়ে লাইব্রেরি সায়েন্স তথা গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা তথা ডিগ্রি অর্জন ও পেশাদার ক্যারিয়ার গঠনে আকর্ষণীয় কেন্দ্র্রবিন্দু হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীই এই বিষয়ে কোর্স করার আগ্রহ দেখাচ্ছে। মূলত গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা একটি পেশাদার প্রোগ্রাম যা গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি এবং তথ্য বিজ্ঞানে পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে তাদের ক্যারিয়ারে অগ্রসর হতে পারে। এই কোর্সটি লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, তথ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি, তথ্য পুনরুদ্ধার এবং লাইব্রেরি পরিষেবা সরবরাহের মৌলিক ধারণা এবং দক্ষতা বিকাশ করে। এই কোর্সটি লাইব্রেরি এবং তথ্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক উন্নত করে এবং শিক্ষার্থীদের তাদের কর্মজীবনে সহায়তা করে। তাছাড়া লাইব্রেরি সায়েন্স পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার গঠন যা আমাদের অনেকের কাছেই যেটা লাইব্রেরিয়ান কিংবা গ্রন্থাগারিক হিসেবে সুপরিচিত।

Library-Science

লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সের প্রকারভেদঃ

বাংলাদেশে ০২ ধরনের লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্স চালু আছে যথারুপ:

) ০৪ বছর মেয়াদি অনার্স কোর্সঃ এটা মূলত এইচ,এসসি পাশের পর ভর্তি হতে হয়। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৪ বছরের মেয়াদী লাইব্র্রেরি সায়েন্সের উপর অনার্স কোস পড়ানো হয়। এখানে ০৪ বছরে মোট ৮ টি সেমিস্টারে পাঠদান শেষ করা হয়। পড়াশোনা শেষ করার পর এটার উপর বিএসএস অনার্স সনদপত্র প্রদান করা হয়।

) ০১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সঃ অপরটি হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনুমোদিত বিভিন্ন প্রফেশসনাল কলেজে ০১ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন প্রফেশনাল লাইব্রেরি সায়েন্সে কোর্স। এটা মূলত ডিগ্রি কিংবা অনার্স পাশ করার পর ভর্তি হতে হয়। মূলত যারা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত কিংবা ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশাতে যাবেন। তাছাড়াও যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরিয়ান পদে ক্যারয়ার গড়বেন তারাও এই কোর্সটি করতে পারবেন। এখানে মূলত ১ বছরে ০২ টি সেমিস্টারে পাঠদান শেষ করা হয়। উল্লেখ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যথা ঢাকা, রাজশাহী ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়াতে ০১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্স করার সুযোগ রয়েছে যেটি প্রফেশসাল কিংবা সান্ধ্যকালীন কোর্স হিসেবে পরিচিত। অবশ্য বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনেও এই কোর্স করার সুযোগ আছে তবে সেইগুলোর অধিকাংশ বিতর্কিত কিংবা মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন থাকার কারনে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুমোদিত কলেজ হতে এই কোর্স করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

  ভর্তি টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু: ভর্তির সার্কুলার এখনো দেয়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • আবেদনের সমাপ্তি:  25/04/2024
  • আবেদনের ফি/চার্জ:  ৩০০/- টাকা [ সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে জমা দিতে হয়]
  • আবেদন ফি জমাদানের শেষ তারিখ :  25/04/2024
  • আবেদন পদ্ধতি : অনলাইনে আবেদন করতে হয় এবং মোবাইল ব্যাংকিং এ- পেমেন্ট করতে হয়
  • ফলাফল প্রকাশের তারিখ: পরে জানিয়ে দেওয়া হবে
  • ক্লাশ শুরুর তারিখ: পরে জানিয়ে দেওয়া হবে
  • ভর্তি পরীক্ষা: দিতে হয়না। শুধুমাত্র ডিগ্রি/অনার্স পাশের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি কলেজে আলাদাভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়।

  • নির্দেশিকা ও আবেদন লিংক : NU Admission

লাইব্রেরি কোর্সের ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

উপরোক্ত পয়েন্টেই উল্লেখ করা হয়েছে ০৪ বছর মেয়াদি অনার্স লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সে এইচ,এসসি পাশের পর ভর্তি হতে হয়। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৪ বছরের মেয়াদী লাইব্র্রেরি সায়েন্সে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এখানে এসএসসি ও এইচএসসিতে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হয়। অতপর ভর্তির পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজে ডিপ্লোমা লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সে ভর্তি হতে হলে সর্বোচ্চ যে কোন বিষয়ে স্নাতক পাশ কিংবা সম্মান হতে হয়। এখানে কোন ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া লাগেনা। মূলত ডিগ্রি কিংবা অনার্স পাশের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে প্রতি কলেজ অনুযায়ী মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হয়।

ডিপ্লোমা লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সে কি কি বিষয় পড়ানো হয়?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ লাইব্রেরি সায়েন্স গুলোতে কলেজে শিক্ষাদানের দক্ষতা, মাধ্যমিক শিক্ষা, পাঠ্যক্রম এবং মেধা বিকাশ, শেখার জন্য মূল্যায়ন এবং প্রতিফলিত অনুশীলন, মৌলিক কম্পিউটার দক্ষতা এবং কর্ম গবেষণার বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এখানে ০১ বছরে ০২ টি সেমিস্টারে ১২০০ মার্কের কোর্স করানো হয় যেখানে প্রতিটি বিষয়ের ৬০% মার্ক লিখিত, ৪০% ব্যবহারিক এবং ২০০ মার্ক প্রোজেক্ট পেপার/প্রেজেন্টেশন হিসেবে থাকে।

শিক্ষকতা পেশার সুযোগ এবং বেতন কাঠামো পরিধি কেমন?

এই বিষয়ে কোর্স সমাপ্ত করার পর আপনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডের বেতনকাঠামো পাবেন। সাথেতো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকছেই। মাধ্যমিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণী র্কমর্কতার মর্যাদায় ১০ম গ্রেডে ১৬,০০০/= টাকা স্কেল প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য কলেজ/মাদ্রাসা পর্যায়ের শিক্ষকতাতে তথা প্রভাষক পদে যোগদান করার সুযোগ রয়েছে বিশেষত যারা ০৪ বছর মেয়াদী এই বিষয়ে অনার্স কোর্স শেষ করেছেন। ডিপ্লোমা কোর্স ধারীরা শুধুমাত্র মাধ্যমিক লেবেল পর্যন্ত শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন।

লাইব্রেরিয়ান পেশায় ক্যারিয়ারঃ

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে লাইব্রেরিয়ান হওয়া খুব একটা সৌভাগ্যের বিষয় নাও হতে পারে। এ অবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো আমাদের দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম। তাই গ্রন্থাগারের সংখ্যাও খুবই কম। তবে আপনি যদি এই পেশায় যেতে চান তবে আপনাকে সহকারী বা সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে যোগদান করতে হবে। আপনি যদি ভাল চাকরির দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন তবে এই ক্যারিয়ারে শীর্ষ অবস্থানটি প্রধান গ্রন্থাগারিক। কাজটি ভালোভাবে করতে পারলে এই পদেও কাজ করা যায়। বর্তমানে আমাদের সরকার আধুনিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। তাই ধীরে ধীরে লাইব্রেরির সংখ্যাও বাড়ছে। আজকাল, অনেক লাইব্রেরি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। দেশের অনেক লাইব্রেরি ডিজিটাল হচ্ছে। তাদের পরিচালনার জন্য দক্ষ গ্রন্থাগারিক প্রয়োজন। আপনি যদি জ্ঞান-ভিত্তিক কাজের পরিবেশ চান, তাহলে এই পেশা আপনার জন্য আদর্শ ক্যারিয়ারের জায়গা হতে পারে। এবার লাইব্রেরিয়ান সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী জেনে নিই:

একজন গ্রন্থাগারিক হলেন একজন ব্যক্তি যিনি গ্রন্থাগার পেশায় কাজ করেন। তার কিছু প্রধান দায়িত্ব ছিল বই সংগ্রহ করা, পাঠকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা এবং পাঠকদের বই পড়তে সাহায্য করা। যাই হোক, আজকের এই প্রবন্ধে আমরা লাইব্রেরিয়ান কী, লাইব্রেরিয়ান কোর্স কী, কোথায় লাইব্রেরিয়ান কোর্স করা যায় এবং আরও অনেক কিছু জানতে যাচ্ছি।

Library-Management

লাইব্রেরিয়ানের প্রকারভেদঃ

প্রধানত ৪ ধরনের লাইব্রেরিয়ান হয়ে থাকে। নিম্নে এই ৪ ধরনের লাইব্রেরিয়ান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলঃ 

পাবলিক লাইব্রেরিয়ান

পাবলিক লাইব্রেরিগুলি প্রায়শই এমন জায়গা যা সর্বস্তরের মানুষের দ্বারা ঘন ঘন আসে। পাবলিক লাইব্রেরিগুলি শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্কদের সহ সকল বয়সের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। পাবলিক লাইব্রেরি লাইব্রেরিয়ানরা লাইব্রেরি সংগঠিত করতে, নতুন পড়ার উপকরণ ক্যাটালগ করতে, লাইব্রেরির ডাটাবেস কম্পাইল করতে এবং নতুন বইয়ের বিবরণ লিখতে সাহায্য করে।

স্কুল গ্রন্থাগারিক

গ্রন্থাগারিকরা এই প্রাথমিক, মাধ্যমিক, সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে কাজ করতে পারেন। স্কুল পর্যায়ে, তাদের প্রধান কাজ হল লাইব্রেরির রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি ভালোবাসা গড়ে তোলা। পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে, তারা ছাত্রদের শেখাতে পারে কিভাবে লাইব্রেরি ডাটাবেস এবং গবেষণা টুল ব্যবহার করতে হয়।

একাডেমিক গ্রন্থাগারিক

একাডেমিক লাইব্রেরিয়ানরা এমন লোক যারা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কাজ করে। তাদের প্রধান কাজগুলির মধ্যে ছাত্রদের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অন্তর্ভুক্ত। লাইব্রেরি সিস্টেম এবং কম্পিউটার ডাটাবেস ব্যবহার করুন। কম্পিউটার সরঞ্জাম ব্যবহারে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সহায়তা করুন, সাহিত্য অনুসন্ধানে সহায়তা করুন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দায়বদ্ধভাবে সংরক্ষণ করুন।

নিবেদিত পেশাদার গ্রন্থাগারিক

এই গ্রন্থাগারগুলিকে বিশেষায়িত গ্রন্থাগার বলা হয় কারণ এগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় অবস্থিত। এই গ্রন্থাগারগুলি প্রায়শই চিড়িয়াখানা বা এমনকি জাদুঘরের মতো পাবলিক স্পেসে অবস্থিত। উপরন্তু, বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানেরও এই লাইব্রেরি থাকতে পারে। এই গ্রন্থাগারগুলিতে গ্রন্থাগারিকদের কাজ গবেষণা এবং ঐতিহাসিক রেকর্ড পরিচালনা করা। দায়িত্বের সাথে ঐতিহাসিক রেকর্ড গবেষণা এবং সংরক্ষণ করুন।

মাসিক আয়

একজন গ্রন্থাগারিকের মাসিক বেতন সরকারি, বেসরকারি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। আপনি যদি এই কর্মজীবনে যোগদান করেন তবে আপনাকে সহকারী বা গ্রন্থাগার সহকারী পদে যোগদান করতে হবে। প্রথম পদের জন্য মাসিক বেতন প্রায় 15,000-20,000 টাকা হতে পারে। কিন্তু আপনি অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করার সাথে সাথে আপনার পদোন্নতি হবে এবং আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে। এমনকি বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে অনেক লাইব্রেরিয়ানের বেতন ৫ম গ্রেড স্কেলের। লাইব্রেরিয়ান পদটা অবশ্যই ১ম-২য় শ্রেণির কর্মকর্তা সমমান গ্রেড অন্তভূক্ত।

লাইব্রেরিয়ানের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সমূহঃ

গ্রন্থাগারিকদের বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আপনি যদি এই শিল্পে প্রবেশ করতে চান তবে তাদের দায়িত্ব আগে থেকেই জেনে রাখা ভাল। তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিচে আলোচনা করা হলো:

  • গবেষণায় পাঠকদের সহায়তা করন। সহকারী গ্রন্থাগারিক এবং অন্যান্য কর্মীদের কাজ তত্ত্বাবধান করা এবং তাদের কাজের দায়িত্ব ব্যাখ্যা করন।
  • সদস্য এবং কর্মীদের সকল কাজে সহজে প্রবেশাধিকার প্রদানের জন্য একটি অনলাইন ডাটাবেস তৈরি করা।
  • লাইব্রেরি ব্যবহারকারীদের বই সুপারিশ প্রদান. কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মজার শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম তৈরি করা।
  • ক্যাটালগ নতুন ইনভেন্টরি এবং সেই অনুযায়ী ডেটাবেস আপডেট করাসহ বই সরবরাহ কোম্পানি থেকে সুবিধাজনক অবস্থা নির্ণয় করে বিভিন্ন বই-পুস্তক এর অর্ডার নেওয়া।

ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি সায়েন্স কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি নির্দেশিকাঃ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই কোর্সে ভর্তি হতে হলে যখন সার্কুলার প্রকাশ করা হয় তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার সময় যে কলেজের নাম নির্বাচন করবেন ঠিক সেই কলেজে গিয়ে অনলাইনের আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি, বিগত সকল পরীক্ষার নম্বরপত্র ও সনদের ফটোকপি এবং প্রাথমিক আবেদন ফি ৩০০/- টাকা জমা দিতে হবে। 
  • সংশ্লিষ্ট কলেজ আবেদন পত্রের এক অংশ জমা রেখে স্টুডেন্ট কপি ভেরিফাই করে আপনাকে ফেরত দিবে।
  • পরিশেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের পর আপনি মেধা তালিকাতে স্থান পেলে সংশ্লিষ্ট কলেজে গিয়ে সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন।
  • উল্লেখ্য আপনি যদি নিজে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরন করতে না পারেন, তবে যে কলেজে ভর্তি হতে চান সংশ্লিষ্ট সেই কলেজে গিয়েও আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কলেজ অফিস আপনাকে ফর্ম পূরন ও জমা দানে সর্বাত্নক সহযোগীতা করবে।
  • আবেদন ফর্ম পূরন ও ভর্তির নির্দেশিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতিত আপনি যদি দেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উক্ত কোর্স করতে চান তাহলে সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট হতে জেনে নিতে হবে। মূলত যারা নিয়মিত যারা খবরের কাগজ পড়েন সেখানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সহজেই দেখতে পাবেন। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কিছু ডিপ্লোমা লাইব্রেরি সায়েন্স (প্র্ফেশনাল) কলেজে তালিকাঃ 

  • ইনস্টিটিউট ফর লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা
  • ইনস্টিটউট ফর লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, ঢাকা
  • ঢাকা প্রফেশনাল কলেজ, ঢাকা
  • আলহাজ্জ মকবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা
  • ড. এম মিজানুর রহমান প্রফেশনাল কলেজ, ঢাকা
  • লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা
  • নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা
  • সিদ্ধেশ্বরী ডিগ্রি কলেজ, মৌচাক, ঢাকা
  • তেজগাঁও কলেজ, ফার্মগেট, ঢাকা
  • ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন লাইব্রেরি এন্ড ম্যানেজমেন্ট (ইলাম), খুলনা
  • ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরি আর্টস কমার্স এন্ড সায়েন্স (ইলাক্স), খুলনা
  • সুন্দরবন কলেজ অব টেকনোলজি (স্কট), খুলনা
  • বগুড়া সায়েন্স কলেজ, বগুড়া
  • ইনস্টিটউট ফর লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, মাদারীপুর
  • প্রফেশনাল কলেজ, বগুড়া
  • বাংলাদেশ সাউট ওয়েস্ট মডেল  ইনস্টিটিউট, যশোর
  • গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, বরিশাল
  • ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স (ইলিস), ময়মনসিংহ
  • ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স (ইলিস), রাজশাহী
  • পটুয়াখালী গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান কলেজ, পটুয়াখালী
  • হাজীগঞ্জ আইডিয়াল কলেজ অব এডুকেশন, চাঁদপুর
  • কলেজ অব এডুকেশন, সাতক্ষীরা
  •  জাজ ইনস্টিটিউট, সিলেট
  • মর্ডান ইনস্টিটউট ফর লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স, জয়পুরহাট
  • গাজীপুর লাইব্রেরি সায়েন্স এন্ড প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট, গাজীপুর
  • উপমা ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী, রংপুর 

 প্রাইভেট কলেজের তালিকাঃ

  • এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ঢাকা
  • ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
  • ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
  • ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কিশোরগঞ্জ
  • খাজা ইউনুস আলী ইউনিভার্সিটি, সিরাজগঞ্জ
  • রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

সর্বশেষ

পোষ্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে।  Diploma Library Science কোর্স নিয়ে আপনারা অনেকেই সঠিক গাইড লাইন নিয়ে ভালো একটি টিউটোরিয়াল সাইট খুঁজছিলেন। হয়ত আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজনে আপনি যদি উপকৃত হোন তাহলে একটু হলেও স্বার্থকতা খুঁজে পাবো। সুতরাং সিরিয়াসলি যারা এই বিষয়ে শিক্ষকতাসহ লাইব্রেরিয়ান পেশাতে আসতে চান তাদের আকর্ষণীয় সুযোগ বলা যেতে পারে। তারপরেও কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করার অনুরোধ রাখছি। 

উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা Peon Mama লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স  নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।

Share this post with friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment

Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.

comment url