কোনটি ভালো হবে উন্মুক্ত, কারিগরী নাকি জেনারেল বোর্ড: এইচএসসি ভর্তি ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম। পিয়নমামা ডট কম ব্লগের পক্ষ হতে সুপ্রিয় শিক্ষার্থী ও ভিজিটর বন্ধুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আসলে নিজের পড়াশোনা ও কর্ম ব্যস্ততার কারনে পোস্ট করতে দীর্ঘ সময় নিতে হলো। পোস্টের শিরোনাম দেখে বুঝতেই পারছেন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। জ্বী হ্যা! সম্প্রতি সময়ে জেনারেল, কারগিরী ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের স্ব-স্ব ওয়েব সাইটে এইচ.এস.সি (উচ্চ মাধ্যমিক) প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার নোটিশ/বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। 

২০২৩ ইং সালে বিশেষত যারা বাউবি হতে এসএসসি (মাধ্যমিক) পাশ করছেন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। বাউবি হতে মাধ্যমিক পাশকৃত অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্নতায় কিংবা হতাশায় নিমজ্জিত আছেন এই ভেবে যে কোথায় এইচএসসি ভর্তি হবেন কারিগরী শিক্ষাবোর্ড, জেনাবেল বোর্ড নাকি বাউবির স্টুডেন্ট বাউবিতেই থেকে যাবেন কিংবা ভর্তি হবেন?মূলত বাউবি হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের অস্থিরতা, দুঃচিন্তার ভয় কাটাতে সুপরামর্শের জন্য নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে আজকে আমার এই পোস্টের আয়োজন। 
 
HSC-Admission

বাউবি হতে এসএসসি পাশকৃত শিক্ষার্থীরা কোথায় ভর্তি হতে পারবে:

উন্মুক্ত (বাউবি) হতে এসএসসি পাশকরা শিক্ষার্থীরা ২০২৩-২৪ইং শিক্ষাবর্ষের এইচএসসির নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেঃ

১। দেশের যে কোন জেনারেল শিক্ষা বোর্ডঃ

জেনারেল শিক্ষাবোর্ড বলতে ঢাকা, রাজশাহী, যশোর সহ সাধারন ০৮ টি বোর্ডে। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ২০২১,২০২২,২০২৩ ইং সালে যে কোন শিক্ষাবোর্ড হতে পাশকৃত শিক্ষার্থী এবং বাউবি হতেও পাশকৃত শিক্ষার্থী এইচএসসি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। আপনি জেনারেল শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের কোথায় ভর্তি হতে/পড়তে চান সেটি xiclassadmission ওয়েব সাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। প্রথমে আবেদন ফি ১৬০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে। অতপর প্রয়োজনীয় তথ্যদিয়ে লগইন করলে কাংখিত কলেজে লিস্ট দেখতে পাবেন।এখান হতে আপনি সর্বনিম্ন ০৫ টি কলেজের তালিকা যোগ করতে পারবেন। অতপর ফলাফল পাবলিশ হওয়ার পর আপনাকে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ যে কলেজ মনোনীত করবে সেখানে ভর্তি নিশ্চয়ন ফি পরিশোধ করে ভর্তি হতে হবে।

HSC_Admssion_Site

  • জেনারেল শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন:

বাউবি শিক্ষার্থীদের জন্য জেনারেল বোর্ডে পড়াশোনার অসুবিধা ও পরামর্শঃ

বাউবি হতে যারা এসএসসি পাশ করেছেন তাদের জন্য আমার পরামর্শ হলো কোন আবেগ, উদ্দীপনা কিংবা অনভিজ্ঞ ব্যক্তির কথাতে কান দিয়ে জেনারেল বোর্ডের অধীনে ভর্তি হয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মারবেন না। সিরিয়াসলি যারা ভালোভাবে লেখাপড়া করতে চান, পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার্থে ভাল কোন প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স/ডিগ্রি করতে চান তারা ইচ্ছা করলে জেনারেল বোর্ডে ভর্তি হতে পারেন। অর্থাৎ মনে একটা জেদ ভাব আছে যে, আমাকে করতেই হবে, অন্যকে দেখিয়ে দিবো এমন হলে অবশ্যই জেনারেল শিক্ষাবোর্ড চয়েজ দিতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতাতে দেখেছি যে, অনেকে বাউবি হতে পাশ করে এসে নিজেকে ফ্যাশন শো দেখানোর জন্য, জেনারেল স্টুডেন্টদেরকে জাহির করার জন্য এখানে ভর্তি হয়ে যেটুকু স্বপ্ন ছিলো তা শেষ করে দিয়েছে। আমি এখানে বাউবি স্টুডেন্টদেরকে ছোট করার জন্য বলছিনা, বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি। বাউবির এসএসসিতে যারা সি,বি গ্রেড পেয়েছেন তাদের পরামর্শ হলো আপনাদেরকে জেনারেল বোর্ডে এইচএসসিতে ভর্তি না হওয়ার অনুরোধ করবো। জেনারেল শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাউবির স্টুডেন্টেদের পড়াশোনার মটিভেশন, স্কীল ৯০% কম থাকে। তাছাড়া জেনারেলে পড়াশোনা করতে গেলে ইংরেজিতে অনেক ভালো হতে হয়, বাউবি হতে বইগুলোর কলেবর অনেক বড়, ক্ষেত্র বিশেষ প্রাইভেট পড়তে হয়, তাছাড়া নিয়মিত ক্লাশ করারও বিধি-বিধান তো আছেই।

জেনারেল শিক্ষা বোর্ডে পড়াশোনার খরচঃ

 সরকারি কলেজগুলোতে বিশেষত জেলা কিংবা উপজেলাতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৫-৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেসরকারি কলেজ গুলোতে ১০,০০০/- পর্যন্ত ব্যয় হয়। অপরদিকে ঢাকা মহানগর কিংবা সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত বেসরকারি কলেজ গুলোতে ব্যয় হয় ১৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

২। কারিগরী শিক্ষা বোর্ড

যারা বাউবি হতে এসএসসি পাশ করেছেন ব্যক্তিগত ভাবে তাদের জন্য আমার সাজেস্ট হলো আপনি কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএমটি কোর্সে ভর্তি হওয়া। বিএমটি হলো ০২ বছরের এইচএসসি সমমান ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা টেকনোলজী বিষয়ক কোর্স। এটা উন্মুক্ত এবং জেনারেল বোর্ডের পড়াশোনার কোর্স হতে অনেক সহজ। বলা যেতে পারে এই কোর্সে মার্ক/জিপিএ অনেক সহজে পাওয়া যায়। বিশেষত যারা এসএসসিতে কম স্কোর পেয়েছেন কিন্তু আশা আছে পরবর্তী সময়ে ভালো কোন প্রতিষ্ঠানে অনার্স/ডিগ্রি ভর্তি হওয়ার। সেখানে কিন্তু ভর্তি হওয়ার জন্য ভালো একটা স্কোর ভূমিকা রাখবে। সুতরাং সহজ পর্যায়ে জিপিএ ভালো করার জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বিএমটি কোর্সের কোন বিকল্প দেখছিনা।  মূলত এখানের প্রতিটা কোর্সে লিখিত বোর্ড পরীক্ষা হয়ে থাকে ৬০ মার্কের এবং স্যারেদের হাতে থাকে ৪০ মার্ক। বিএমটি কোর্সের পড়াশোনা গুলো অনেকটাই প্রাকটিক্যাল। এখানে যে কোন বয়সের কিংবা যে কোন সালের যে কোন গ্রেডে পাশকৃত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। প্রতি বছর জেনারেল বোর্ড একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। আরেকটি বিষয় এই কোর্সে ভর্তি হলে জেনারেলদের মত প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজন পড়েনা। ঠিক একই সময়ে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডও এইচএসসি বিএমটি কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে।  
 
BMT_Admision_Site

কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে পড়াশোনার খরচঃ 

কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএমটি কোর্সগুলো মুলত বেসরকারি বিএমটি কলেজগুলোতে পাঠদান করা হয়, সরকারি ভোকেশনাল কলেজগুলোতে এখনো চালু হয়নি। এই সকল প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
  • কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন:

৩। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)

কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের মতই যে কোন বয়সের কিংবা যে কোন সালের যে কোন গ্রেডে পাশকৃত শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। বিশেষত যারা শিক্ষার্থী হিসেবে অতি প্রবীণ এবং শুধুমাত্র নিজের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে চান অর্থাৎ জাস্ট একটা সনদ হলেই হলো তাদের জন্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াটাই বেস্ট হবে।কিন্তু যাদের অন্য উদ্দেশ্য যেমন চাকুরী, উচ্চতর পড়াশোনা যে বিষয়গুলো উপরের আলোচনাতে বলেছি সেই সব শিক্ষার্থীদের জন্য আমি বাউবিকে সাজেস্ট করিনা তার অন্যতম কারনগুলো হলোঃ 
 
Bangladesh_Open_University
  • যদি বাউবি থেকে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাশ করে পরবর্তীতে অনার্স ভর্তি হতে চান তাহলে অধিকাংশই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাউবির শিক্ষার্থীদের এলাউ করেনা। অপরদিকে বাউবিতে যারা কম স্কোর কিংবা জিপিএ পেয়ে পাশ করবেন তাদের কিন্তু সরকারি কলেজগুলোতেও অনার্স করার শেষ সুযোগও হয়না।
  • সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী শিক্ষার মান এক হলেও অনেক চাকুরী নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেকেই বাউবির শিক্ষার্থীদের বাঁকা চোখেই দেখে।
  • আরেকটি বিষয়ে না বলে পারছিনা তাহলো জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স সংশোধন করার ক্ষেত্রে অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানই বাউবির শিক্ষার্থীদের সনদগুলো দিয়ে কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।
  • ফলাফল প্রকাশ ও মার্কসীট বিতরনেও দীর্ঘ সময় নেয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। যেমনঃ আপনি বাউবি হতে এইচ.এস.সি পাশ করে জেনারেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে যাবেন ঠিক উক্ত সময়ে দেখবেন হয়ত আপনার মার্কসীট আসে নাই কিংবা বাউবির সার্ভার বন্ধ আছে। ফলে কি হচ্ছে আপনাকে বাধ্য হয়েই পরবর্তী শিক্ষা নিতে পূনরায় বাউবিতেই আপনাকে ভর্তি হতে হচ্ছে কিংবা থাকতে হচ্ছে। আসলে এমনটা করা হচ্ছে উন্মুেক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অভিনব কৌশল যাতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অন্য কোথাও না যেতে পারে। আমি নিজেও এর ভূক্তভোগী ছিলাম যেটার গল্প আরেক দিন বলবো। তাছাড়া অনেককেই সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখেছি উন্মুক্ত হতে পাশ করে।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচঃ 

বাউবির অধীনে এইচএসসি কোর্সগুলো মুলত সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে টিউটোরিয়াল কেন্দ্র হিসেবে পাঠদান করা হয়। এই সকল প্রতিষ্ঠানে ০২ বছরে ফর্ম পূরন+রেজিঃ+পরীক্ষার ফিসসহ শিক্ষার ব্যয় হয়ে থাকে সর্বসাকুল্য ৮-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। আরেকটি বিষয় এখানে জেনারেল কিংবা কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের মত নিজ খরচে কোন বই ক্রয় করতে হয়না। 

কিভাবে ভর্তি হবেন কিংবা ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া:

  • উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকা, ভর্তির যোগ্যতা, কিভাবে আবেদন করবেন, ফি পরিশোধ করবেন ও অন্যান্য শর্তাবলী জানতে নিচের লিংকে ভিজিট করুন:
  • উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করলে নিচের মত ইন্টারফেস চিত্র আসবে > Offered Program অপশন হতে Open School এ ক্লিক করে এসএসসি প্রোগ্রামের পাশে প্রদর্শিত ভর্তি নির্দেশাবলী (learner's guide এবং View details ) গুরুত্ব সহকারে পড়ে (+) কিংবা (-) এ ক্লিক করলে যে কোর্সগুলোতে ভর্তি চলছে সেখানে Apply Now লেখা আসবে। 
BOU Apps

আবেদন করার বিষয়ে পরামর্শঃ

  • আপনি যেখানেই ভর্তি হোন না কেন ভর্তি হওয়ার পূর্বে প্রদেয় ওয়েব সাইটের লিংক হতে ভর্তি নির্দেশিকা পড়ে নিবেন ও প্রয়োজনীয় বিষয় বস্তু নোট করে রাখবেন। বর্তমানে যাদের নিজস্ব পিসি কিংবা ল্যাপটপ আছে কম্পিউটার বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকলে আপনি নিজের ভর্তির আবেদন নিজে করতে পারবেন কিংবা  অন্যজনকেও পূরন করে দিতে পারবেন।
  •  ওয়েব সাইট কিংবা ইউটিউব হতে ভিডিও দেখেও বিষয়গুলো রপ্ত করতে পারবেন। বিশেষত যারা বাউবি হতে পাশ করে কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ০২ বছরের বিএমটি কোর্সে ভর্তি হবেন অর্থাৎ বিএম কলেজে ভর্তি হতে চাচ্ছেন তাহলে অবশ্যই BMTA কোড সিলেক্ট করে ভর্তির আবেদনের ১৬২/- টাকা জমা দিবেন। 
  • কম্পিউটার এর দোকান হতে পূরন করতে গিয়ে অবশ্যই দোকানদারকে বলে দিবেন যে, আপনি ০২ বছরের বিএমটি কোর্সে ভর্তি হবেন। কেননা, কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স করানো হয় এবং কোড নম্বরও ভিন্ন হয়ে থাকে ফলে সুনিদিষ্ট ভাবে না বললে অনেকে বুঝতে পারেন না। 
  • আরেকটি বিষয় আপনি যদি নিশ্চিতভাবে বিএমটি কোর্সে ভর্তি চান তাহলে প্রথমে আবেদন ফি দিয়ে আবেদন ফর্ম পূরন করুন অতপর আসনটি নিশ্চিত অর্থাৎ কাঙ্খিত কলেজে সীটটি ধরার জন্য একই দিনে অথবা নিদিষ্ট সময়ের মধ্যেই আসনটি নিশ্চিত করার জন্য পূনরায় কনফার্ম ফি ১৯৫/- টাকা পে করুন। অর্থাৎ আবেদন ফি- ১৬২ টাকা + ভর্তি নিশ্চয়ন ফি ১৯৫ টাকা = সর্বমোট ৩৬০/- টাকা পরিশোধ করে, আবেদনের কম্পিউটার প্রিন্ট নিয়ে যে কলেজের জন্য ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন সেই কলেজে চলে যাবেন। স্যারেদের দেখালেই পরবর্তী পদক্ষেপ তারা গ্রহন করবেন।
  • বাউবিতে ভর্তি হতে গেলে অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরন করতে হবে > যে টাকার এমাউন্ট দেখাবে সেটি পরিশোধ করতে হবে। অতপর কম্পিউটার প্রিন্ট দেওয়া কাগজ পত্রাদি নিয়ে আপনার নিকটস্থ বাউবি আঞ্চলিক কেন্দ্র/উপ-কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। সেখান হতেই আইডি কার্ড ও বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • জেনারেল বোর্ড কিংবা কারিগরী বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা প্রকৌশল বিষয়ে পড়তে হলে স্ব স্ব ওয়েব সাইট হতে আবেদন করতে হবে। অতপর নিদিষ্ট সময়ে ফলাফল দেওয়ার পর আপনি চান্স পেলে কাঙ্খিত কলেজে গিয়ে প্রয়োজনীয় টাকা দিয়ে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।

এইচএসসি ভর্তির বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা ও তিক্ততা

অনেকেই প্রশ্ন রাখতে পারেন ভাই! আপনি কিসের ভিত্তিতে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন? তাহলে তার প্রতিত্তরে বলবো যে, ভাই আমি নিজেও বাউবি হতে এসএসসি পাশ করেছিলাম। অতপর সেই সময়ে ২০১৫ সালের দিকে নিজে অনুসন্ধানী ও তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিএমটি ট্রেড হতে এইচএসসি পাশ করি। আলহামদুলিল্লাহ্ পরিশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ০৭ কলেজ হতে ২০২২ ইং সালে অনার্স পাশ করি। সত্যি কথা বলতে কি ঐ সময়ে আমার সাথে বাউবি হতে যারা এসএসসি পাশ করেছিলো এবং আমার থেকেও যারা জিপিএ ভালো পেয়েছিলো তারা কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবেগের তাড়নায় জেনারেল বোর্ডে ভর্তি হয়েছিলো। অবশেষে তাদের কারোরই অনার্স/ডিগ্রি শেষ করতে পারে নাই।

এর মূল কারণ হলো জেনারেলে ভর্তি হয়ে রেগুলারভাবে পাশ করে বাহির হতে পারে নাই আবার অনেকের এইচএসসিতে ভালো ফল করতে পারে নাই। সুতরাং এবার বুঝতেই পারছেন আমার অভিজ্ঞতার কথা! শুধু অভিজ্ঞতা নাই তিক্ততাও রয়েছে যেমন: ওপেন/বাউবি হতে এসএসসি পাশ করার কারনে আমি সেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে অনার্স ভর্তির আবেদন করার সুযোগ হয়নি। এই রকম বাস্তব অভিজ্ঞা ও তিক্ততায় পরিপূর্ণ এসএসসি হতে শুরু করে অনার্স কিভাবে শেষ করলাম প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে। আসলে এখানে আমার নিজেকে জাহির করার জন্য নই, আপনাদেরকে মোটিভেশন দেওয়ার জন্যই আমাকে এই কথাটুকু বলতে হলো।

সর্বশেষ:
পোষ্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে।হয়ত আমার অনুপ্রেরণার মাধ্যমে আপনিও আমার থেকে আরো ভাল কিছু করতে পারবেন, জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দেশের সুনাগরিক হিসেবেও ভবিষ্যতে অনেক কাজ করার সুযোগ পাবেন। পরিশেষে এইচএসসি ভর্তিচ্ছুক সকল শিক্ষার্থীকে পূনরায় শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আজকের মত বিদায় হচ্ছি। 
উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা Peonmamaলিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স  নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।  

Share this post with friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment

Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.

comment url