ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্স :: A টু Z গাইডলাইন ২০২৪

হাল সময়ে শিক্ষিত বেকার যুবক কিংবা চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে আলোচিত একটি প্রিয় নাম কিংবা শিরোনাম হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স। এটাও ডিপ্লোমা চারুকলা কোর্সের মতই সমান জনপ্রিয় একটি প্রশিক্ষণ কোর্স। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) কোর্স হলো এমন একটি পেশাদার শিক্ষামূলক কোর্স যেটি তথ্য ও যোগাযোগ বিষয় সম্পর্কে ধারণা ও হাতে-কলমে ব্যবহারিক বিষয়গুলো পাঠদান করা হয়। এই কোর্সে মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটও্য়্যার, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া বিষয়ের সাথে কাজের শিক্ষা দেওয়া হয়। 

এটি একটি ডিপ্লোমা কোর্স, যা সাধারণভাবে এক বছরের মধ্যে শেষ করা হয়। মূলত এই কোর্সটি সমাপ্ত করার পর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় সহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেয়ে ক্যারিয়ার জীবন শুরু করতে পারে। উল্লেখ্য আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্সটি ১ বছর মেয়াদি অ্যাডভান্স সার্টিফিকেট কোর্স (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) তথা আইসিটি হিসেবে সুপরিচিত।

তথ্য- যোগাযোগ-প্রযুক্তি -(আইসিটি)- ভর্তি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কি?

বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information & Communication Technology – ICT) বলা হয়। কারণ এই ২ প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একটি আরেকটির পরিপূরক, তবে প্রতিযোগী নয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি (ICT) বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় বিষয়। তবে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি (IT) এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে, অনেকের কাছেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিও তথ্য প্রযুক্তি (IT) নামে পরিচিত। কাজেই তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটি অনেকটা সমার্থক হিসাবে সর্বত্রই ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ অনুসারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে, “যেকোনো প্রকারের তথ্যের উৎপত্তি, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সঞ্চালন এবং বিচ্ছুরণে ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি” কে বুঝায়। তাহলে আরেকটু বিশ্লেষন কার যাক-

আইসিটি ডিপ্রোমা কোর্সের ভর্তি টাইম লাইন :

  • আবেদন শুরু:  ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে 10/12/2023 তারিখ হতে
  • আবেদনের সমাপ্তি :  20/01/20243
  • আবেদন ফি+ ভর্তি ফি : 3000/- টাকা
  • আবেদন ফি জমাদান ও ভর্তির শেষ তারিখ : 20/01/2024 3  30/04/2023
  • আবেদন পদ্ধতি : যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেখানে যোগাযোগ করুন
  • ক্লাশ শুরুর তারিখ: 10/02/2024
  • সিলেবাস, নির্দেশিকা লিংক : Bangladesh Technical Education Board (BTEB)
  • তথ্য প্রযুক্তিঃ আমরা জানি উপাত্ত হল তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক বা কাঁচামাল। যে প্রযুক্তির মাধ্যমে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করে তথ্য তৈরী, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, তথ্যের সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, আধুনিকীকরণ, পরিবহন, বিপনন ও ব্যবস্থাপনা করা হয় তাকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি (CT) বলে। এক কথায় উপাত্তকে তথ্যে রুপান্তর করা ও তথ্য ব্যবস্থাপনার সংগে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বলে।
  • যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ কোন ডেটা বা ইনফরমেশন এক স্থান হতে অন্য স্থান কিংবা এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটার কিংবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে অথবা একজন অন্যজনের নিকট আদান প্রদানের প্রক্রিয়াকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বা কমিউনিকেশন টেকনোলজি (CT) বলে।

তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মধ্যে পার্থক্য কোন পার্থক্য আছে কি?

  • তথ্যপ্রযুক্তি (Information Technology) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Information and Communication Technology) দুটি পরিষেবা সংগঠন মধ্যে সম্পূর্ণরূপে সমান নয়। দুটি শব্দদ্বয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে যা তাদের ব্যবহার এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের সংশ্লিষ্টতার সাথে সম্পর্কিত।
  • তথ্যপ্রযুক্তি শব্দটি সাধারণত তথ্য প্রযুক্তির পরিবর্তিত রূপ যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শব্দটি তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযোগস্থল বোঝায়। এটি তথ্যকে প্রক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত যেকোনো প্রযুক্তি সংকলনকে বোঝায়। এটি তথ্যের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সরঞ্জাম উদ্ধৃত করার প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগুলির সংকলনকে প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা এবং এর ব্যবহার বিস্তারিত নির্দেশনা করে। তথ্যপ্রযুক্তি সাধারণত কম্পিউটার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক এবং ডেটাবেস এবং অন্যান্য সংযোগিত প্রযুক্তিগুলির প্রয়োগ সম্পর্কে সংক্ষেপে বোঝায় ও পরিচালনার উপর কেন্দ্রিত হয়।
  • সুতরাং, পরিশেষে পার্থক্যর বিষয় হলো: তথ্যপ্রযুক্তি একটি নদীর ধার হয় যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়, আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেই নদীর পানি যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি তথ্য সংগ্রহ, সরঞ্জাম উদ্ধৃত এবং সংগঠনের সাথে সংযুক্ত থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদেরকে তথ্য প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রয়োক্তিগুলি সরবরাহ করে, যখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদেরকে তথ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রচেষ্টা পরিচালনায় সহায়তা করে।

আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্সের প্রকারভেদ:

ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্স মুলত বিভিন্ন প্যার্টানের হয়ে থাকে যা নিম্নরুপ সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো:
  • ক) একটি হচ্ছে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অধীনে ১ বছর মেয়াদি অ্যাডভান্স সার্টিফিকেট কোর্স (আইসিটি)। মূলত এই কোর্সটিই বর্তমান সময়ে বেশি জনপ্রিয়। শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে যারা আইসিটি শিক্ষকতা পেশায় এসেছেন তাদের অধিকাংশই কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া ০৪ বছরের ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও অনার্স প্রকৌশলী বিদ্যালয়ের আইসিটি কিংবা কম্পউটার শিক্ষকতা পেশায় আসতে পারবেন।
  • খ) আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক ০১ বছরের আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্স।
  • গ) তাছাড়া বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন: কুয়েত, রুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামলী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ০১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়ে থাকে যেটা ডিল্পোমা ইন আইসিটি, ডিপ্লোমা ইন পিডিজিডি ইত্যাদি।
  • ঘ) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১.৫ বছরের আইসিটি বিষয়ে কোর্স করানো হয়ে থাকে যাহা ডিসিএসএ নামে পরিচিত।
  • ঙ) এছাড়াও কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফর্মাল-নন ফর্মাল আইসিটি কোর্স করিয়ে থাকে।

কেন করবেন ডিপ্লোমা আইসিটি কোর্স?

  • যারা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চান।
  • সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্যারিয়ার গড়তে চান
  • উদ্যেক্তা হতে চান।
  • প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী প্রযুক্তি প্রেমী তার জ্ঞান, গবেষণাকে আরো প্রবৃদ্ধি করার জন্য।
  • ফ্রিল্যান্স ও আউটসোর্সিং বিষয়ে ক্যারিয়ার গড়তে।
তথ্য-ও-যোগাযোগ-প্রযুক্তি -(আইসিটি)- কোর্স

আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্সে যে সকল বিষয়গুলো পাঠদান করা হয়?

আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ানো সাবজেক্টগুলি বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের মধ্যে ভিন্ন হতে পারে, কারণ তা প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট স্ট্রাকচার, শিক্ষকের অভিজ্ঞতা এবং আঞ্চলিক গ্রহনযোগ্যতা স্বাপেক্ষে সিলেবাস প্রণীত হয়ে থাকে। আপনি যে ধরনের ডিপ্লোমা কোর্স করুন না কেন, নিম্নরুপ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলী পাঠদান করা হয়।
  • ক) প্রোগ্রামিং ভাষা বিষয়: সি ল্যাঙ্গুয়েজে (C language) প্রোগ্রামিং (বেসিক এবং অ্যাডভান্সড),
  • নেটওয়ার্কিং, ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড-ওয়েব, ডেটা স্ট্রাকচার, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, গণিত, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, সি ++, ভিজ্যুয়াল বেসিক, পিএইচপি, জাভা (java), ওয়েব স্ক্রিপ্টিং ইত্যাদি।
  • খ) অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ঃ এমএস অফিস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাবলিশার, পাওয়ার পয়েন্ট, বেসিক টাইপিং ইত্যাদি।
  • গ) সফটওয়্যার বিষয়ঃ অপারেটিং সিস্টেম, ইউটিলিটি সিস্টেম ইত্যাদি।
  • ঘ) গ্রাফিক্স বিষয়ঃ ফটোশপ, ইলাষ্ট্রেটর, প্রিমিয়ার, ক্যানভা প্রো, সাউন্ড, ভিডিও এডিটিং ও মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি।
  • ঙ) ইন্টারনেট বিষয়ঃ ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল কন্সেপশন, এসইও, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
  • চ) অন্যান্য বিষয়ঃ হার্ডও্য়্যার ট্রাবলশুটিং এবং পিসি এসেম্বলিং ইত্যাদি।

ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্স শেষ করে কোথায় শিক্ষকতার সুযোগ পাবেন?

পূর্বেই বলেছি এই বিষয়ে কোর্স সমাপ্ত করার পর আপনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাবেন।  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০ম গ্রেডের বেতনকাঠামো পাবেন। সাথেতো অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকছেই প্রতিষ্ঠান কাঠামো অনুযায়ী। তাছাড়া কলেজেরও প্রভাষক পদে যোগদান করা যায় তবে সেটা আইসিটি বিষয়ে ডিপ্লোমা থাকলে হবেনা, ০৪ বছরের বিএসসি অনার্স ইন কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার প্রকৌশল বিষয়ে গ্রাজুয়েশন থাকতে হবে।

**** দৃষ্টি আকর্ষণ ****

  • ১। এক বছর মেয়াদি অ্যাডভান্স সার্টিফিকেট কোর্স (আইসিটি) বিষয়টি বর্তমানে ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কিংবা ডিজাটাল প্রযুক্তি নামে অন্তভূক্ত হয়েছে এবং শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাতে এই নামে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • ২। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষক নিবন্ধন (এনটিআরসিএ) কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী এই পদে অসংখ্যক শিক্ষকের পদ ফাঁকা রয়েছে (প্রায় ১০,০০০)। ২০২৬ সাল নাগাদ আরো ৭,০০০ পদ যুক্ত হবে।
  • ৩। তাছাড়া অদূর ভবিষ্যতে সরকারি প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পদ সৃষ্ট হলে আরো অসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ পাবেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন…………!
  • বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এ্যানালইজিস,  আইটি এক্সপার্ট হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। 
আইসিটিতে শিক্ষকতা

শিক্ষক পেশাতে বেতন কেমন?

এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৬,৫০০/- এবং কলেজগুলোতে ২২,৫০০/- বেতন পাবেন। তাছাড়াও রাজধানীতে অবস্থিত যেগুলো স্বতন্ত্র কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে বেতন কাঠামো আরো অনেক বেশি।

ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা কি?

কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই কোর্সে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা হলো সর্বশেষ স্নাতক পাশ ডিগ্রি কিংবা ০৪ বছরের অনার্স কোর্স। এখানে একাধিক ৩য় বিভাগ কিংবা সি গ্রেড থাকলেও সমস্যা নাই। প্রতি বছরে ডিসেম্বরের শেষের দিকে কারিগরী শিক্ষাবোর্ড ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।

ডিপ্লোমা ইন আইসিটি এর খরচ কত?

কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে ০১ বছরের এ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হয়। সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ১০০ এর বেশি প্র্রতিষ্ঠান রয়েছে। আর এই কোর্স গুলোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান গুলো সব গুলোই প্রাইভেট তথা বেসরকারি। বলা চলে আপাতত কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান নাই। চারুকলা বিষয়ে ০১ বছরের এ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা কোর্সে সর্বমোট খরচ হবে প্রতিষ্ঠান ভেদে সর্বনিম্ন ১০,০০০/- হতে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০,০০০/- টাকা। এর মধ্য অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই প্রাথমিকভাবে ভর্তি করানোর সময় ৩০০০/- হতে ৫,০০০/- টাকা আপনার কাছ হতে গ্রহন করবে। বাকি টাকা প্রতি সেমিস্টারে আপনাকে সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে। মূল কথা আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেই প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা ও শর্তাবলী ভালোভাবে জেনে নিবেন।

আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করার পর কিভাবে স্কুল-কলেজে শিক্ষক হওয়া যাবে?

আইসিটি বিষয়ে ডিপ্লোমা পাশ করার পর আপনাকে শিক্ষক নিবন্ধনে পাশ করতে হবে। অর্থাৎ শিক্ষক নিবন্ধন পাশ করার পর প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আসন থাকলে আপনি অবশ্যই নিয়োগ পাবেন। প্রতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ নোটিশ প্রদান করে থাকে। অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আপনি শিক্ষক নিবন্ধন সনদ লাভ করবেন যেটা দিয়ে পরবর্তী সময়ে শিক্ষক পদ নিয়োগ লাভের জন্য আবেদন করতে হয়।

ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্সে কোথায় ও কিভাবে ভর্তি হবেন?

প্রথমত মনস্থির করুন আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে কোথায় ভর্তি হবেন। বিশেষত আপনার জেলাতে এমন কোন প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানেও ভর্তি হতে পারেন। তাছাড়াও অন্যত্র ভর্তি হতে পারবেন। বর্তমানে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ও অফলাইনে ক্লাশ করানোর ব্যবস্থা রাখছে। সুতরাং দূরে ভর্তি হয়েও আপনি অনলাইনে ক্লাশ করতে পারবেন এবং মূল পরীক্ষা তথা বোর্ড পরীক্ষার সময় আপনি সেখানে অবস্থান করে পরীক্ষাতে অংশগ্রহন করতে পারবেন। ০১ বছরের ডিপ্লোমা চারুকলা কোর্সটি ০২টি সেমিস্টারে বিভক্ত। এক বছরের প্রায় ১০ টি কোর্সের পরীক্ষা দিতে হয়। পাঠ্যসূচী, সিলেবাস কারিগরী শিক্ষাবোর্ডের ওয়েব সাইটে পাবেন। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে সাহায্য করবে। আরেকটি বিষয় চারুকলা বিষয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তা করার দরকার নাই। প্রতিষ্ঠানের স্যারেদের নির্দেশিকা ও টিপস্ অনুসরন করলেই আপনি ভালো ফলাফল তথা ফাস্ট ক্লাশ সহজেই পেয়ে যাবেন। এই সকল প্রতিষ্ঠানে যে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তার ৯৮% ফাস্ট ক্লাশ ফলাফল করে। এখান হতে পাশ করার পর আপনি কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের সনদপত্র লাভ করবেন। সনদপত্রে সিজিপিএ উল্লেখ থাকে যেটা ৪. ০ স্কেলের মধ্য পরিমাপ করা হয়।

আইসিটি ডিপ্লোমা কোর্স এর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা

করিগরী শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন এ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা চারুকলা (০১ বছর মেয়াদী) কোর্সের অনুমোদিত বেশ কিছু জনপ্রিয় ট্রেনিং সেন্টার কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানাসহ নিম্নরুপ লিপিবদ্ধ করা হলো। মূলত নিচে প্রদত্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের শিরোনামে ক্লিক করলেই তাদের অফিসিয়াল সাইটে আপনাকে নিয়ে যাবে। ফলে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী আপনি সেখান হতেই জেনে নিতে পারবেন।

২। ক্রিয়েটিভ ট্রেনিং ইনস্টিটউট, সাতক্ষীরা 

৩। চারুকলা ও আইসিটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, সাতক্ষীরা 

৪। চারুকলা ডিপ্লোমা ট্রেনিং ইনস্টিটউট, বগুড়া 

৫। চারুকলা ও আইসিটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, গাজীপুর 

৬। গ্লোবাল ফাইন আর্টস ইনস্টিটউট, রাজশাহী 

৭। চারুকলা এন্ড আইসিটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ-খোকসা,কুষ্টিয়া 

৮। সাইক টিটি কলেজ, ঢকা ও বগুড়া

৯। রুপসা এ্যাডভান্সড টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনা

**** দৃষ্টি আকর্ষণ ****

উপরোক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা গুলো আমাদের জ্ঞাতভাবে ও ওয়েব সাইট এ্যানালইজিস করে সংগৃহিত হয়েছে। এই তালিকার বাইরেও ডিপ্লোমা চারুকলা বিষয়ক আরো প্রশিক্ষণ কলেজ রয়েছে। আপনাদের এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ক তথ্য জানা থাকলে নিজের কমেন্ট বক্সে জানালে আমাদের এই প্রতিবেদন অংশে আপডেট করে দিবো। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের জন্য যে ফেসবুক লিংক কিংবা ওয়েব সাইট ঠিকানা ব্যবহৃত হয়েছে পরবর্তী সময়ে সেটি অপসারিত হলে কিংবা লিংক কাজ না করলে তার দায়-দায়িত্ব পিয়নমামা ডট কম সাইটের উপর বর্তাবে না।

 সর্বশেষ:

পোষ্টের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে।  ডিপ্লোমা ইন আইসিটি কোর্স নিয়ে আপনারা অনেকেই সঠিক গাইড লাইন নিয়ে ভালো একটি টিউটোরিয়াল সাইট খুঁজছিলেন। হয়ত আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজনে আপনি যদি উপকৃত হোন তাহলে একটু হলেও স্বার্থকতা খুঁজে পাবো। সুতরাং সিরিয়াসলি যারা আইসিটি বিষয়ে শিক্ষকতা পেশাতে আসতে চান তাদের জন্য এই বছরের সর্বশেষ সুযোগ বলা যেতে পারে। আপনি ভর্তি হতে যত বিলম্ব করবেন আপনি ঠিক চাকুরির প্রস্তুতি থেকে ততটা পিছিয়ে থাকবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামী পর্বে ক্যারিয়ার বিষয়ক অন্য কোন টপিক নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য আমাদের ব্লগ সাইট ভিজিট করতে ব্রাউজারের সার্চবার কিংবা গুগলে গিয়ে পিয়নমামা ডটকম কিংবা PeonMama লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া ওয়েব সাইটে ভিজিট করে ক্যাটাগরি/লিস্টের তালিকা হতে পচ্ছন্দসই পোস্ট বাছাই করতে পারবেন।  আরেকটি বিষয়, পিয়নমামা ডটকম সাইটে শুধু লেখাপড়া বিষয়ক নই পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে চাকরির বিজ্ঞপ্তি, কম্পিউটার টিপস, অনলাইনে ইনকামের কৌশল, ফ্রিল্যান্স, ক্যারিয়ার আড্ডা, সফটওয়্যার রিভিউ ও ই-কমার্স  নিয়ে পোস্ট পাবলিশ করা হবে।

Share this post with friends

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment

Rules for commenting: Linking comments made without any reason for the purpose of getting backlinks will not be approved. However, linking comments for reasonable reasons will be approved after verification. Moreover we always follow zero spamming policy. So Be Careful..! to the policy of according at this blog.

comment url